অ্যারোপ্লেনে বাজ পড়লে যাত্রীরা রক্ষা পান কীভাবে? - সময়ের দাবি

Download Free Templates

Ads 728x90

অ্যারোপ্লেনে বাজ পড়লে যাত্রীরা রক্ষা পান কীভাবে?

 

অ্যারোপ্লেনে বাজ পড়লে যাত্রীরা রক্ষা পান কীভাবে


ঝড়বৃষ্টির সময় আকাশে ঘন ঘন বিজলি চমকায়। বিকট শব্দে বাজও পড়ে। মেঘে মেঘে বিদ্যুৎ চমকায়। আবার বিদ্যুতের ঝলক মেঘ থেকে নিচে মাটির দিকেও নেমে আসে। এর উত্তাপ সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রার পাঁচ গুণ বেশি পর্যন্ত হতে পারে। এই প্রচণ্ড তাপ চারপাশের বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে শকওয়েভ সৃষ্টি করে, যা প্রচণ্ড শব্দের বাজ বলে অভিহিত করি আমরা।

প্রশ্ন হলো, এ ধরনের বাজ তো আকাশে চলার সময় অ্যারোপ্লেনেও আঘাত করতে পারে। সে সময় যাত্রীরা রক্ষা পান কীভাবে? এ জন্য আধুনিক বিমানে বিদ্যুতের তাপ সহনের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। বিজলির বিদ্যুৎ–প্রবাহ বিমানের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে যেন অন্য প্রান্ত দিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে যায়, সে ব্যবস্থা রাখা হয়। ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বজ্রপাতের মধ্য দিয়েও বিমান চলে যায়।

বজ্রপাতের সময় মেঘে সঞ্চিত অতিরিক্ত ঋণাত্মক বিদ্যুৎ চার্জ মাটির দিকে সঞ্চিত ধনাত্মক চার্জের সঙ্গে সম্মিলনের জন্য নেমে আসে, সৃষ্টি হয় বিদ্যুৎ–প্রবাহ। এ সময় উঁচু গাছপালা বা ঘরবাড়িতে বজ্রাঘাত হয়। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই এ সময় আপনাকে নিরাপদ আশ্রয় বেছে নিতে হবে। বাইরে খোলা মাঠ বা বড় গাছের নিচে থাকবেন না। প্রশস্ত ঘর নিরাপদ। টেলিফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। পুকুর, নদীতে সাঁতার না কাটাই ভালো। বাড়ির পাশে উঁচু নারকেলগাছ রাখা ভালো। তাহলে উঁচু গাছেই বাজ পড়বে, বাড়ি রক্ষা পাবে। শহরে উঁচু উঁচু দালানে আর্থিং ব্যবস্থা রাখা হয়, যেন বিদ্যুতের এই প্রচণ্ড প্রবাহ এর মধ্য দিয়ে মাটিতে চলে যায়।


*লেখাটি ২০২৪ সালে বিজ্ঞানচিন্তার এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত

Add Comments

Ads 728x90